শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ মিষ্টি আলু চাষে লালমনিরহাটের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাটে সাংবাদিকের পিতা কাশেম আলীর ইন্তেকাল পরিচ্ছন্ন রাজনীতি বুকে ধারণের মাধ্যমে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো-লালমনিরহাটে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী লালমনিরহাটে তুলার চাষে লাভের মুখ দেখছে কৃষেকরা লালমনিরহাটে কর্মসৃজন কর্মসূচি শুরু না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মহীনরা লালমনিরহাটের বিশাল আকৃতির ঐতিহ্যবাহী আমগাছ লালমনিরহাটে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের রেলভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ লালমনিরহাটে শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এর ভূমিকা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ভারত শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্র করছে: লালমনিরহাটে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
লালমনিরহাটের বিশাল আকৃতির ঐতিহ্যবাহী আমগাছ

লালমনিরহাটের বিশাল আকৃতির ঐতিহ্যবাহী আমগাছ

বিশাল আকৃতির এ গাছটি একটি আমগাছ। দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১নং মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা গ্রামের কেদালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আমগাছটি প্রকৃতির আপন খেয়ালে বেড়ে উঠে আজ ইতিহাস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু কোদালখাতার মানুষের কাছে নয়, এই আমগাছটি এখন বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা লালমনিরহাট জেলায়। গাছের মূল থেকে ডালপালাকে আলাদা করে দেখতে চাইলে রীতিমত ভাবতে হয়। আমগাছটির ব্যতিক্রমী অনেককে আকৃষ্ট করে। শত ব্যস্ততার মধ্যে একটু সময় করে ছুটে গিয়ে চোখ জুড়ানোর লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই। ব্যতিক্রমী এই আমগাছ পশ্চাৎপদ লালমনিরহাট সদর উপজেলাকে অনেকের কাছে আজ পরিচিত করে তুলেছে। টেংটেগালী লালমনিরহাটের মানুষের প্রিয় একটি আমের জাত। সুস্বাদু, সুগন্ধী, রসালো আর ছোট আটি জাতটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সেই টেংটেগালী জাতের বিশাল আকৃতির আমগাছটি দাঁড়িয়ে আছে প্রায় অনেকটা জায়গা জুড়ে। উচ্চতা আনুমানিক ৮০-৯০ ফুট। আর পরিধি ২০ ফুটের কম নয়। মুল গাছের ৩ দিকে ৩টি মোটা মোটা ডালপালা বেড় হয়েছে। বয়সের ভারে গাছের ডালপালা গুলো নুয়ে পড়লেও গাছটির শীর্ষভাগে সবুজের সমারোহ, সবুজ আমে টইটম্বুর থাকে। আমগুলোর ওজন ১০০ গ্রাম থেকে ১৫০ গ্রাম। স্থানীয়দের কাছে এই আমগাছের ইতিহাস অনেক পুরোনো। অনেকেই গাছটির বয়স অনুমান করতে চেষ্টা করেন। কেউ বলেন ৮৪বছর, আবার কেউ বলেন ৮৫বছর। তবে এলাকার বয়োজেষ্ঠ্যরাও গাছটির বয়স কত তার সঠিক ভাবে বলতে পারেন না।

 

তাঁরা বলেন, কোন সময় আমগাছটি লাগানো হয়েছে তা জানা নেই। তবে কোদালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে স্থাপিত হয়েছে। প্রাচীন এই গাছটি সম্পর্কে প্রবীণরা জেনেছেন তাঁদের বাপ-দাদার কাছ থেকে।

 

তারা আরও জানান, এই আমগাছের সঙ্গে একটি ফুলগাছ লাগানো হয়েছিলো। এখনও আম ও ফুলগাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফুলগাছটির নাম নিয়ে রয়েছে মতভেদ। বিভিন্ন নাম বলেন। কেউ বলেন কড়ি ফুল, অন্য কেউ বলেন, খুদি ফুল, আবার অনেকেই বলেন কামিনী ফুলগাছ।

 

আমগাছটির বয়স অনুমান করা যায়, গাছটির বয়স ৮৪-৮৫বছরের কম নয়।

 

কিভাবে যাওয়া যায়: গাড়ীয়াল ভাইয়ের গরু/মহিষের গাড়ি এক সময়ের একমাত্র পথ চলার বাহন হলেও এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না। ঢাকা থেকে সড়ক পথে বিলাসবহুল বাস ও ট্রেন যোগে সরাসরি লালমনিরহাট সদর উপজেলায় খুব সহজেই পৌছানো যায়। সড়ক পথে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের দুরত্ব প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার। বিমানপথে সৈয়দপুরে পৌছে সড়ক পথে লালমনিরহাট নির্বিঘ্নে পৌছানো যায়। লালমনিরহাট সদর উপজেলায় অধিকাংশ মূল সড়ক পাকা হলেও আনাচে কানাচে কাচা সড়ক পরিলক্ষিত হয়। বেলে মাটি হওয়ায় বর্ষার মৌসুমেও কাচা সড়ক চলাচলের উপযোগী থাকে। লালমনিরহাট জেলা শহর হয়ে সাপটানা বাজার দিয়ে/ ভাটিবাড়ী বাজার চৌরাস্তা দিয়ে রিক্সা, অটো, ইজিবাইক দিয়ে এই ৮৪-৮৫বছরের ঐতিহ্যবাহী আম গাছ পরিদর্শন করা যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone